বেকারত্ব ঘোচাচ্ছে তোয়ালে
সাইট আপডেটের কাজ চলছে । এই নিউজটি পরীক্ষামূলক কপি পেষ্ট করে পোষ্ট করা হয়েছে ।
শুধু খঞ্জনা গ্রাম নয়, গত মঙ্গলবার সরেজমিনে আশপাশের প্রায় সব কটি গ্রামেই কমবেশি এ দৃশ্য দেখা যায়। জালাল উদ্দিন জানান, প্রায় ২০ বছর আগে তিনি তিনটি পাওয়ারলুম দিয়ে টিনের ছাপরায় কারখানা চালু করেন। ধারদেনা ও ব্যবসায়িক আয় থেকে বর্তমানে ছয়টি পাওয়ারলুম করেছেন তিনি। এ দিয়ে চলে তাঁর ছয়জনের সংসার। কারখানায় কাজ করছেন ২০ জন শ্রমিক। তাঁদেরও অভাব ঘুচেছে। তিনি জানান, তাঁর প্রতিষ্ঠানের নাম কেয়া টেক্সটাইল। শুরুর দিকে গ্রামে তিনি একাই এ ব্যবসা করতেন। এখন উপজেলায় প্রায় ৭০ জন তোয়ালে ব্যবসায়ী আছেন।
গ্রামবাসী জানান, তোয়ালে কারখানা কালীগঞ্জের বিভিন্ন এলাকার মানুষের বেকারত্ব কমিয়েছে। খঞ্জনা, বড়নগর, উত্তরগাঁও, কুমারটেক, বালিগাঁওসহ বিভিন্ন গ্রামে তোয়ালে তৈরি হচ্ছে। এসব গ্রাম তোয়ালের গ্রাম হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে।
খঞ্জনা গ্রামের নূরুল ইসলাম ছোটবেলা থেকেই তোয়ালে তৈরি করে বাজারে বিক্রি করে আসছেন। তাঁর দেখাদেখি গ্রামটির অনেকেই তোয়ালে তৈরি শুরু করেন। নূরুল ইসলাম বলেন, ‘২০০৮ সাল থেকে বাবার করা একটি টিনের ঘরে দুটি পাওয়ারলুম দিয়ে ব্যবসা চালু করি। বর্তমানে আমার কারখানায় ছয়টি পাওয়ারলুম।’ তিনি বলেন, স্বল্প সুদে ব্যাংক থেকে টাকা পাওয়া গেলে এ ব্যবসা আরও দ্রুত বিস্তার লাভ করত। বেকারত্ব আরও কমত। নূরুল ইসলামের মতো বড়নগর গ্রামের হাসান আলী, সফিজ উদ্দিন ও জলিল মিয়া ব্যবসায় সাফল্য পেয়েছেন। তাঁরা টিনের ঘর থেকে পাকা দালানও করেছেন।
তোয়ালে কারখানার ব্যবসায়ীরা জানান, প্রায় দুই যুগ আগে খঞ্জনা গ্রামে শুরু হয় তোয়ালে তৈরি। গ্রামের কয়েকজন তোয়ালে তৈরি করে বেশ লাভবান হন। আশপাশের এলাকায় এ খবর ছড়িয়ে পড়ে। উপজেলার কয়েকটি ইউনিয়নে শুরু হয় তোয়ালে তৈরি। তাঁদের উৎপাদিত বিভিন্ন ধরনের তোয়ালে ও রুমাল দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশে যাচ্ছে। এভাবে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা আসছে। ব্যবসায়ীরা জানান, কালীগঞ্জের তোয়ালে ঢাকার সদরঘাট, চকবাজার ছাড়াও সিলেট, পাবনা, সিরাজগঞ্জ, টাঙ্গাইল, কিশোরগঞ্জ, রাজশাহী, বগুড়া, রংপুর, দিনাজপুর ও চট্টগ্রামের বিভিন্ন এলাকায় সরবরাহ করা হয়।
কোন মন্তব্য নেই